৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত

প্রিয় পাঠক ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত এ বিষয়ে আপনারা অনেক ওয়েব সাইট খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু আপনার মনের মত বা সঠিক কোন তথ্য পাননি।


আপনি আরো খোঁজ করেছেন পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কতদিন পর হয়। সকল ওয়েবসাইটে তথ্যের কোন না কোন ঘাটতি রয়েছে। আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আবেদন করার পর পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে

বর্তমান ডিজিটাল যুগ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। তেমনি ই পাসপোর্ট এমন একটি পাসপোর্ট যার সুবিধা হল খুব দ্রুত সময়ে এই গেট ব্যবহার করে ভ্রমণকারীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা থেকে খুব সহজে যাইতে পারে।

ভূমিকা

আপনার অনেকেই জানেন না পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট হলো এক ধরনের ভ্রমণ করার বৈধ কাগজ যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেওয়া হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নথিপত্র। এই নথিপত্রে ভ্রমণকারীর জাতীয়তা এবং পরিচয় উল্লেখ করা থাকে।

পাসপোর্টে নাম, ছবি, জন্মের তারিখ, স্থান, স্বাক্ষর এবং বিভিন্ন রকম চিহ্নিতকরণ করার তথ্য দেওয়া থাকে। পাসপোর্টে এক ধরনের চিপ রিড থাকে, যার মাধ্যমে সহজেই একজন পাসপোর্ট ধারের সকল তথ্য স্টোর করা যায় বা সংগ্রহ করা যায়।

পাসপোর্ট কত প্রকার ও কি কি

সাধারণত পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটা হল সাধারণ পাসপোর্ট এবং দ্বিতীয়টা হল দাপ্তরিক পাসপোর্ট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট।
  • সাধারণ পাসপোর্ট : এই পাসপোর্টটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাইরের দেশে ব্যবসা, ভ্রমণ, হজ, ওমরা পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
  • দাপ্তরিক পাসপোর্ট : এই এমন লোকদের দেওয়া হয় যারা সরকারি কোনো কাজে দেশ বিদেশ ভ্রমণ করে থাকে। এছাড়া দেশ বা বিদেশে কোন সরকারি কাজে যায় তাদের এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।

বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম কি?

পাসপোর্ট এর জন্য শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকালের অনলাইনে আবেদনের মাধ্যম একই। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে অনলাইনে। তারপরে পাসপোর্টের যে ফি সেটা প্রথমে আপনাকে অনলাইনে প্রদান করতে হবে।

আবেদন ফি-র চালান কপি এবং প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া হলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর আবেদন দুই ভাবে করা যায়। শিশুর বাবা-মার যখন পাসপোর্ট তৈরি করা হয় তখন শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন একই সাথে করা যায় এবং আপনি চাইলে আলাদাভাবে ও শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন।

তাছাড়া যদি শিশুর বাবা মার সঙ্গে শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন করে তাহলে কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। কিন্তু দুই ভাবেই আবেদন ফি একই।

পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

  • আপনি অনলাইনে যে ফরম পূরণ করছেন সেই ফর্মটির সিডিউল পত্র অথবা প্রিন্ট কপি।
  • পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময় অনলাইনে যে ফ্রি প্রদান করেছেন সেই ফির ব্যাংক চালান কপি।
  • যদি আপনার বয়স ২০ বছরের ঊর্ধ্বে হয় তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি (ইংরেজি ভার্সন) যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয় তাহলে পিতা-মাতার এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক।
  • আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি অবশ্যই প্রয়োজন।
  • একটি টেকনিক্যাল সনদ বা অন্যান্যদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ লাগবে যা সরকারি /আধা সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/ বিভাগ /অধিদপ্তর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে NOC/Go অবশ্যই প্রয়োজন।
  • NOC/Go থেকে আবেদন কারিগর নিজ নিজ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে NOC/GO আপলোড করতে হবে।
  • যদি কোন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী আবেদন করেন তাহলে অবসর গ্রহণের যে কাগজটি রয়েছে সেটি দিতে হবে।
  • ছয় বছরের কম শিশুদের আবেদন করার ক্ষেত্রে 3R সাইজের ০১ কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি যার ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে ব্রে রঙিন।
  • আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ দিতে আপনার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, যেকোনো একটি বিলের কাগজের কপি প্রয়োজন।

আবেদন করার পর পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে

শিশু অথবা প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই পাসপোর্ট আবেদন ও ডেলিভারির কার্যক্রম একই রকমই। প্রযুক্তিগত কারণে পাসপোর্ট হাতে পেতে কিছুটা সময় বেশিও লাগতে পারে। তবে ধরা যায় ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট আপনি হাতে পেয়ে যাবেন।

যদি এক থেকে ১৫ বছরের বাচ্চার পাসপোর্ট করতে করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন এর সত্যায়িত ফটোকপি, শিশুর পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি,শিশুরকোন আপন জনের ফোন নাম্বার নাম ঠিকানা ইত্যাদি দিতে হবে যাতে জরুরি প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়।

এছাড়া ছবি, NOC বা অনাপত্তি পত্র এটা লাগবে যাদের পিতা বা মাতা সরকারি,আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে তাদের।এছাড়াও লাগবে পাসপোর্ট এর ফি প্রদানের চালান কপি।

পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা ফি প্রদান করতে হয়

পাসপোর্ট এর মেয়াদ অনুযায়ী এর ফি প্রদান করা হয়ে থাকে। যত বেশি মেয়াদী পাসপোর্ট নেয়া হবে তত একটু বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্টের আসলে দুইটি মেয়াদ থাকে। একটি হলো দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এবং পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট।

৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত

৪৮ পৃষ্ঠার এই পাসপোর্ট এর রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা যা ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। যদি আপনি এটা ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে নিতে চান তাহলে ৮৬২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আপনার যদি আরও জরুরী হয় অর্থাৎ ২ কর্ম দিবসের মধ্যে নিতে চান তাহলে ১২০৭৫ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হবে।

১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত

৪৮ পৃষ্ঠার এই পাসপোর্ট এর রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা যা আপনি ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। এই 48 পৃষ্ঠার পাসপোর্ট যদি ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে নিতে চান তাহলে ৮০৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আর এই পাসপোর্টটি যদি আপনি ২ কর্ম দিবসের মধ্যে পেতে চান তাহলে ১০৩৫০ টাকা ফি দিতে হবে।

৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত

পাঁচ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এ রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা যা আপনি ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও যদি আপনি ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে পাসপোর্টটি হাতে পেতে চান তাহলে ৮৬২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আর আপনার যদি খুব জরুরী হয় অর্থাৎ ২ কর্ম দিবসের মধ্যে পেতে চান তাহলে ১২০৭৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর ফি কত

দশ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এর রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা যা আপনি ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে থাকবেন। আর আপনি এটা যদি দশ কর্ম দিবসের মধ্যে পেতে চান তাহলে ১০৩৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আর আপনার খুব জরুরী অর্থাৎ ২ কর্ম দিবসের মধ্যে পেতে হলে ১৩৮০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কতদিন পর হয়

সাধারণত নতুন একটি পাসপোর্ট এবং আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট পুনরায় আবার ইস্যু করতে চান তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন আছে।এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়াটি ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ এক মাস সময় নিয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

এক দেশের নাগরিক যদি অন্য দেশে ভ্রমণ, কোন কাজ, হজ বা ওমরা হজ পালন এছাড়াও সরকারি কোন কাজে যায় তাহলে অবশ্যই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। পাসপোর্ট ছাড়া কোন নাগরিক এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাইতে পারবে না।

প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url